সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও পলাশডাঙ্গা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বুধবার দুপুরে এ শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদাত্ত আহ্বানে এদেশের দামাল ছেলেরা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেয়। টানা ৯ মাস যুদ্ধের পর কাঙ্খিত স্বাধীনতা আসে।৭৫’র ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির চক্রান্তে জাতির পিতাকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যার আত্মস্বীকৃত খুনিদের প্রতিষ্ঠিত করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কলঙ্কিত করেছিল মেজর জিয়া। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষায় সঠিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা, চিকিৎসা ও সবধরণের ব্যবস্থা প্রদান করা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য একটি কুচক্রী মহল তৎপর হয়ে উঠছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডঃ বিমল কুমার দাসের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় এমপি অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মাদ মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার), জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডঃ কে এম হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন, উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শহিদুল ইসলাম সবুজ, নির্বাহী অফিসার শাহীন সুলতানা, বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী সোরহাব আলী সরকার, গাজী শফিকুল ইসলাম শফি, গাজী লুৎফর রহমান মাখন, গাজী আমিনুল ইসলাম, গাজী ফজলুর রহমান খান, এ্যাডঃ সুকুমার চন্দ্র দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদত হোসেন ফিরোজী, হোসনে আরা মির্জা প্রমূখ।
উল্লেখ্য, নির্বাহী প্রকৌশল এলজিইডি’র তত্বাবধায়নে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এ পলাশডাঙ্গা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়।
